দেবিদ্বারে ঐতিহ্যের নিদর্শন বায়তুল আজগর সাত গম্বুজ মসজিদ
- মো: ফখরুল ইসলাম সাগর, দেবিদ্বার (কুমিল্লা)
- ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১১:৪৮
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার পৌর এলাকার গুনাইঘর গ্রামে ঐতিহ্যের সাথে চমৎকার আধুনিকতার সমন্বয়ে গুনাইঘর বায়তুল আজগর সাত গম্বুজ জামে মসজিদটি নির্মিত হয়েছে। দেবিদ্বার সদর থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত পৌর এলাকাতেই ক্রমে আধুনিক শহরের অবয়বে গড়ে উঠেছে। ক্যালিগ্রাফি এবং ফুল লতা পাতায় আরবি অক্ষরে শোভিত করে কুমিল্লার দেবিদ্বারে একটি অত্যাধুনিক মসজিদ নির্মাণ করতে অগণিত শ্রমিক নিয়োগ করা হয়। প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলের সবুজ শ্যামল ভূমিতে জাতীয়ভাবে আলোচিত এ পরিকল্পনা এখন বাস্তবে রুপ নিয়েছে।
মসজিদটির প্রতিষ্ঠা, অর্থায়ন ও সার্বিক পরিকল্পনায় ছিলেন কুমিল্লা-৪ দেবিদ্বার আসনের চার চার বার নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য ও দেবিদ্বারের উন্নয়নের আধুনিক রুপকার ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী। তৎকালীন বিএনপি জোট সরকারে অামলে ২০০৫ সালের ১৪ জানুয়ারি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ড.খন্দকার মোসারফ হোসেন উদ্বোধন করেন এ ঐতিহাসিক মসজিদটি। এক সুবিশাল বাগানের এ মসজিদটি আজ বাংলাদেশের অনন্য এক স্থাপত্য নিদর্শন। মসজিদটির অভ্যন্তর, বাহির ও মিনার গুম্বজ পাত্রে রয়েছে- সিরামিকসে করা শতাধিক ক্যালিগ্রাফি।
ঐতিহ্যবাহী লিপিশৈলী শেকান্তে, সুসল দিওয়ানী ছাড়াও রয়েছে আটটি বাংলা ক্যালিগ্রাফি। বিভিন্ন স্থানে একই মাধ্যমে স্বাভাবিক আরবি লিপিতে লেখা আছে সূরা আরহমান, আয়াতুল কুরসি এবং এর চারদিকে দৃষ্টি নন্দন চারটি সুউচ্চ মিনার শোভা পাচ্ছে, যার প্রতিটির উচ্চতা ৮০ ফুট। সাতটি গম্বুজের পাঁচটিই ঝাড়বাতি সমৃদ্ধ। ছয়টি এসি রয়েছে পুরো মসজিদে। এক সাথে প্রায় তিন শ' মানুষ এ মসজিদে নামাজ আদায় করতে পারেন। এক কথায় মসজিদটি ঐতিহ্যের সাথে চমৎকার আধুনিকতার সমন্বয়।
২০০২ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে উদ্বোধন পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে মসজিদটি নির্মাণে ৩৫ জন শ্রমিক দায়িত্বের সাথে কাজ করেছেন। ক্যালিগ্রাফি, কারুকাজ ও নকশার শিল্পী বশির মেসবাহ, স্থপতি শাহিন মালিক। তবে বর্তমানে মসজিদটির পেছনে ফুলে ফলে ভরা একটি বিশাল বাগান রয়েছে যা পর্যটকের দৃষ্টি কেড়ে নেয়। এই মসজিদটি দেখার জন্য দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন অশংখ্য দর্শনার্থী আসেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা